আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : করোনার টিকা গ্রহণে অস্বীকার করায় নিউইয়র্ক শহরে প্রায় দেড় হাজার কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন।

নগর কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাধ্যতামূলক টিকা গ্রহণের চূড়ান্ত সময়সীমা ছিল গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি)। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে করোনা টিকা না নেওয়ায় ১ হাজার ৪৩০ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে নগর কর্তৃপক্ষ। নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষএ তথ্য জানিয়েছেন।

নগর কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেওয়ার সময়সীমা ছিল। নগরীর জনশক্তির মধ্যে ভ্যাকসিন না নেওয়া আরও কর্মী রয়েছেন। তাদেরও চাকরি হারাতে হতে পারে। এর আগে টিকা না নিলে নগরীর কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন সদ্য সাবেক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও। আর তা বাস্তবায়ন শুরু করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র এরিক অ্যাডামস।

সাবেক মেয়র গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং তার ঘোষণার প্রতি জোরাল সমর্থন ছিল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। বাইডেন প্রশাসনে এ সিদ্ধান্ত ছিল ফেডারেল কর্মচারীদের জন্য। এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন গ্রহণে অনিচ্ছুকরা বিষয়টি আদালতে নিয়ে গেলে এ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপের সুযোগ নেই বলে রায় দেন দেশটির আদালত। যে রায়ের ভিত্তিতে সিটি কর্মচারীরা ভ্যাকসিন না নিলেও সমস্যা হবে না বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি এখন সিটির অসংখ্য কর্মীর রুটিরুজির ওপর আঘাত হিসেবে আসতে শুরু করেছে।

১ হাজার ৪৩০ কর্মীর চাকরিচ্যুতি সম্পর্কে নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কিন্তু মেয়র অফিস জানিয়েছেন যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তারা ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে অথবা ভ্যাকসিন না নেওয়ার যৌক্তিক কারণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সিটি প্রশাসন এর আগের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পর্যন্ত চাকরিচ্যুত অধিকাংশ কর্মীকে ছুটিতে রেখেছিল। কিন্তু অনেকের চাকরি আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত বহাল রযেছে।

এখন যারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের অধিকাংশই নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের কর্মী বলে জানা গেছে। চূড়ান্ত সময়সীমা ঘনিয়ে আসার আগেই কিছুসংখ্যক শিক্ষক ভ্যাকসিন নেওয়ার বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকেছেন। তারা ভ্যাকসিন না নেওয়ার পক্ষে ধর্মীয় কারণ প্রদর্শন করেছেন, যা আদালত গ্রাহ্য করেননি। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তাদের যুক্তিকে খারিজ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিউ ইয়র্ক সিটির প্রায় ৩ হাজার কর্মী চাকরিচ্যুত হতে পারেন।